কোমল গান্ধার
একটা বড় টানেলের মধ্যে দিয়ে সে চলেছে, অনেকটা পাতালরেলের সুড়ঙ্গের মত । চলেছে যেন কোনো এক অমোঘ গন্তব্যের দিকে । কেউ কি ডাকছে তাকে?! চারপাশে হঠাৎ আলোর ঝলকানিতে কতগুলো খুব চেনা মুখ, হাত নেড়ে কিছু বলবার আগেই আবার অন্ধকার । পরের বাঁকেই আবার, উফ্ কী আলো! আলোর কুয়াশা- কিচ্ছু চোখে পড়ে না । ...... বাসসটপে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎই বড্ড অসহ্য লাগতে থাকে পর্ণার । এমনিতে এভাবে চুপ করে দাঁড়িয়ে মুখের মিছিল, গাড়ির ভিড়, বিলবোর্ড ইত্যাদি প্রভৃতি দেখতে বেশ ভালোই লাগে ওর, কিন্তু আজ ভীষণ বিরক্ত লাগছে । মার্চের শুরু, ক্যালেন্ডার বলছে বসন্তদিন, অথচ দেখো কি ভ্যাপসা গরম । রুমাল খুঁজতে গিয়ে সারা ব্যাগ তোলপাড় । কোথায় পড়ে গেছে কে জানে, আরো তিরিক্ষি হয়ে গেলো মেজাজটা । ঠিক তক্ষুণি দেখলো, রাস্তা পেরিয়ে আসছে পল্লব । অনেকটা দূরে হলেও চোখেমুখে চিন্তার ভাব স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে । -“ শোন, বাজে কথা বলবো না । SGPT বেশ হাই । এখন তো রেখেই দেবে । কন্ডিশন বেটার সেটা বললো না, তবে আনম্যানেজবল সিচ্যুয়েশন যে নয়, সেটা কিন্তু বললো ” -“ করণীয় কী এখন? ” -“ ভরসা রাখা, ভেঙ্গে না পড়া । আমি...