আন-কথা #৩
মফঃস্বলের অনেকগুলো পাড়ার পাশেই আস্ত একটা নদী থাকে, তাতে আজীবনকাল ধরে ভেসে যায় কচুরিপানার ঝাঁক। নদীর ধারে বড় শিশুগাছে বাসা করে থাকে অনেক টিয়া, তার গভীর কোটরে ঘুমিয়ে থাকে গোখরো সাপ। দুটো বা তারও বেশি মাঠ থাকে এক একটা পাড়ায়, দল বেঁধে খেলা করে বেড়ানো একদল ইস্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়ে থাকে। একটা ভুতের বাড়ি থাকে, চেনা পাগল/পাগলী থাকে, আদর করে বাড়িতে ডেকে পুজোর থালার বাতাসা খাওয়ানো জেঠিমা/কাকীমা থাকেন, অন্ধকার হওয়ার পরে রাস্তায় দেখলে বকুনি দেওয়া কাকু/জেঠুরাও থাকেন। খেলতে গিয়ে কেটে-ছড়ে গেলে ঝোপ থেকে পাতা ছিঁড়ে ডলে দেওয়া বন্ধু থাকে, ঝুলন দেখতে এসে পুতুল উঠিয়ে নিয়ে চলে যাওয়া বন্ধুও থাকে। কবিতার লাইন ভুলে যাওয়া রবীন্দ্রজয়ন্তী থাকে, সরস্বতীপুজোর ফুলচুরি থাকে। মফঃস্বলের বাড়িগুলো মনে হয় একরকমই হয়। অল্প উঁচু পাঁচিল, গ্রীলের গেটের মাথায় মাধবীলতার ঝাড়। গেট পেরিয়ে উঠোন, উঠোনে তিন/চারটে গোলাপ, একটা জবা, একটা শিউলি, একটা রঙ্গন, একটা কামিনী গাছ, যার মাথা পৌঁছে যায় দোতলার ঘরের জানলা অবধি। উঠোন পেরিয়ে সাদা-কালো চক মেলানো বারান্দা, সেখানে একসাথে দুজন বসার একটা লম্বা চেয়ার। কোণের দিকে টেবিল থা...