আনকথা #১১

অ্যাকাউন্টেন্সির একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় - ডেপ্রিশিয়েশন। একটা সম্পত্তি বা অ্যাসেট সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে তার দাম হারায়, সেটাই হলো ডেপ্রিশিয়েশন। ব্যবহার হতে হতে ক্ষয় হয় বা নতুন উন্নততর প্রযুক্তি বা যুক্তি এসে তাকে বলে,  টাইম আপ...হে বন্ধু, বিদায়।

এই যে ক্ষয়ে যাওয়ার যন্ত্রণা, তা হয়তো কিছু কমতো যত্নের পরিমাণ বাড়লে। 

নিজেদের বেলাতেও তো দেখি সেই একই জিনিস। 

সময়মতো না খাওয়া, বয়েস বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যালশিয়াম, ভিটামিনের ঘাটতি- অযত্ন, গ্যাস্ট্রাইটিস, আর্থারাইটিস আরোও কত ইস টিস- যন্ত্রণা।

যত্নের অভাবে সম্পর্কের ক্ষয়, যন্ত্রণা। 

আর মন টা? তার যত্ন বড় জটিল ব্যাপার।

নিজেকে যত্নে রেখে যন্ত্রণামুক্ত থাকবো, নিউ ইয়ারের নানাবিধ রেজিলিউশনের লিস্টে তালেগোলে কোথায় হারিয়ে যায়।
আয়নায় দেখি চোখের নিচের কালো, যত্ন করে স্মাজ করা কাজল নয় হে, এ অন্য কিছু। সমাধানের উপাদানের অভাব নেই, আনাও হলো। একদিন, দুদিন- তারপর? ধুসস..তাক ভরলো, দাগ মুছলো না। নিজের ইচ্ছেমতো খাবার বানিয়ে গুছিয়ে খাওয়া, সাজগোজ, নিজেকে ওই কী বলে প্যাম্পারিং- সব কিছু কী মহা সমারোহে এলো, কিন্তু অত:পর...

যন্ত্রণা, ডেপ্রিশিয়েশন এর যন্ত্রণা...যত্ন করতে পারতাম, কিন্তু করা হলো না..ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন? ওষুধ খাও, থেরাপি নাও..আলোয় ফেরো। বেশ...খেলাম, নিলাম, এলাম- কতদিন?
অযত্নের অভ্যাস হয়ে গেছে যে! কিছু ভালো না লাগার যন্ত্রণা, যা আগে করতে ভালোবাসতাম তা হারিয়ে ফেলার পুনরাবৃত্তি..যত্ন চাই, যত্ন কই!

বৃষ্টির পরে জানলার শিকে যে একফোঁটা জল থাকে, হাত দিলেই টুপ করে পরে যায়- তার মধ্যে কী থাকে- অভিমান! কেন, কার উপর তার কোনও লজিকাল ক্লারিফিকেশন নেই, কিন্তু অভিমান আছে- তীব্র থেকে তীব্রতর। যত্ন হয় না, যত্ন আসে না। মন চায়, খুব বেশি কিছু না - কেউ বলুক, মুখটা শুকনো কেন? খুব ক্লান্ত? এরকম বলার মানুষেরা ক্রমহ্রাসমান, যন্ত্রণা বাড়ে...

যত্ন করে ঘুমকে ডাকি.. যে ঘুমের শেষে কী আছে কেউ জানে না...

এ একান্তই আমার নিজের কথা। নিজের যত্ন নিয়ে যন্ত্রণামুক্ত অনেকেই থাকেন, তাঁদের আমি বড্ড শ্রদ্ধা করি। 

"make peace with your broken pieces"

Comments

Popular posts from this blog

আনকথা #১২

অলিখিত #৪

অলিখিত #৩